সংক্ষিপ্ত মূলপাঠ (Text)
চোখ বসে যায়, চার ধারে কালো দাগ পড়ে। চোখের তারা প্রসারিত হয়। চোখ থেকে জল পড়ে।
ব্যবহারিক সংকেত (Clinical Hints)
সংযোজক ত্বক:
এসেটিক এসিড সংযোজক ত্বকে (Conjunctiva) প্রদাহ উপস্হিত করে তার সাথে রোগীর পাকস্থলীতে অম্লজনিত উপসর্গ বিদ্যামান থাকে।
চোখঃ
চোখে কৃত্রিম ঝিল্লী (Membrane) সৃষ্টি হলে এসেটিক এসিড উপকার করে। ঝিল্লী সাধারণত সাদা, হলদে পুরু হয়, দৃঢ়ভাবে চোখের সঙ্গে লেগে থাকে, বিশেষতঃ যে সব শিশু অজীর্ণ পীড়ায় ভোগে অপুষ্টির শিকার হয় (ঝিল্লী অধিকতর আলগা- কেলি বাইক্রম)। আবার, গর্ভকালে মা অম্লজণিক অজীর্ন পীড়ায় অনেক দিন ভুগলে বা প্রসাবের পর অধিক রক্তস্রাবে এনিমিয়া উপস্থিত হলে, নানা প্রকার শারীরিক বিশৃংখলার কারণে মায়ের দুধ বিকৃত হয়। দুধ হয় ঈষৎ নীলাভ, উহাতে ক্যাসিন (Caseine) ও মাখনের পরিমান খুবই কম থাকে। স্বাদে গন্ধে, কড়া টক হয়। এরূপ দুধ পানে শিশুর স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে, অপুষ্টিতে ভুগতে থাকে। প্রচন্ড দুর্বলতা সহ গায়ের মাংস খুয়ে যায়, তার ম্যারাজমাস বা অঙ্গশীর্ণ রোগ উপস্থিত হয়। অথবা দীর্ঘ স্থায়ী উদরাময় বা আমাশয়ে আক্রান্ত হলে চেহারা হয় জীর্ন শীর্ণ। মুখমন্ডল ফ্যাকাশ, বিবর্ণ আকার ধারন করে, যা কিনা দেখতে মোমের মত। তার সঙ্গে উপস্থিত হয় শোখ সহ প্রচন্ড অতৃপ্ত পিপাসা। শিশুর চোখে ঝিল্লীযুক্ত প্রদাহ হয়, চোখে থেকে প্রচুর পানি পড়তে থাকে, সে রোদ, আলো আদৌ সহ্য করতে পারেনা। এরূপ পোষন ক্রিয়ার অভাবে সে অপুষ্টি জনিত অন্ধত্বের শিকার হয়, প্রস্ত ত করে এসেটিক এসিডের ক্রিয়াক্ষেত্র।