সংক্ষিপ্ত মূলপাঠ (Text)
চোখের শুষ্কতা।
চোখে সাময়িক জ্বালা সহ চোখের পাতায় চাপ হয় যেন ঘুম থেকে এইরুপ হচ্ছে। ডান চোখের গোলকে জ্বালা। বাঁ চোখের গোলকে জ্বালা, যেন ভিতর থেকে বাইরের দিকে। গোলক এবং পাতার মধ্যভাগে বালি থাকার অনুভূতি। পাতার ধারে সুই ফোটা ব্যথা এবং চুলকানি, উপর পাতার মধ্যভাগে চাপ। চোখের কোটরের উপর ভাগে আড়া আড়ি চিমটি কাটা, টেনে ধরা ব্যথা। মান দৃষ্টি।
ছুঁইলে চোখের মধ্যদিয়ে মাথায় তীক্ষ্ণ ব্যথা হয়। চোখের সামনে কুয়াশা।
লিখবার কালে মান দৃষ্টি, পলক ফেললে উপশম হয়। দৃষ্টি পথে ভাসমান অণুর ভ্রান্ত দৃষ্টি।
ব্যবহারিক সংকেত (Clinical Hints)
কোটরের স্নায়ুশূলঃ
রাতে চোখের কোটরের উপর ভাগে স্নায়ুশূলের জন্য এসাফিটিডা অত্যন্ত মূল্যবান ঔষধ। প্রচন্ড ফুটো করার মত ব্যথা রাতে দপদপ করতে থাকে। বিশ্রাম এবং চাপে বেদনার উপশম হয়।
শহরিসের প্রদাহঃ
চোখ, চোখের চার ধারে দপদপে বেদনা, তার সাথে মাথায় দপদপে বেদনা হয়। বেদনা রাতে অতিশয় প্রখর হয়ে উঠে, শুধু বেদনা নয়, চোখের সকল লক্ষণ রাতেই বৃদ্ধি পায়। চোখের চার পাশে অসাড়তা। উপদংশ জনিত আইরিসের প্রদাহে এসাফিটিডা অত্যন্ত উপকারী ঔষধ। বেদনার প্রকৃতি ঐরূপ থাকলে চোখের অভ্যন্তরীণ প্রদাহে এই ঔষধ উপকার করে। ইহার চোখের স্রাব রসানির মত, অতিশয় দুর্গন্ধযুক্ত।
কর্নিয়া:
কর্নিয়ায় ভাসা ভাসা ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ক্ষতগুলি ব্যাপক, উহাতে জ্বালা এবং খোঁচামারা ব্যথা অথবা চেপে ধরার মত ব্যথা, বেদনার গতি ভিতর থেকে বাইরের দিকে বিশ্রাম ও চাপে উপশম হয়, রাতে বৃদ্ধি পায়। উল্লেখ্য যে, চোখের সকল উপদ্রব মুক্ত বাতাসে উপশম হয়।
লক্ষ্য করুন:
এসাফিটিডার রোগীরা মোটা, থলথলে চেহারার, অত্যন্ত স্নায়বীক, অত্যান্ত ব্যথাকাতর। শৈরিক ধাতু বিশিষ্ট চেহারা, হিষ্টিরিয়া বা মূর্ছা রোগে ভোগে। ইহা উপদংশ জনিত চোখের পীড়ার শ্রেষ্ট ঔষধ। চোখের সকল লক্ষণ মুক্ত বাতাসে উপশম হয়।
কে কি বলেন:
এসাফিটিডা সিলিয়ারী নিউর্যালজিয়ার জন্য অতিশয় উপকারী। চোখের গোলকের গভীর বদ্ধমূল প্রদাহ, আইরিসের প্রদাহ, আইরিস কর্নিয়ার প্রদাহ, আইরিস কোরোয়ডের প্রদাহ এবং রেটিনার প্রদাহ বিশেষতঃ উপদংশ জনিত উপস্থিত হলে, তার সাথে দপদপে ফুটো করার মত বেদনা হয়। বিশেষভাবে প্রখর ফুটো করার মত বেদনা ভ্রু এর উপর বিদ্যমান থাকে- সকল উপসর্গ রাতেই বৃদ্ধি পায়। – ডা. ডব্লিউ এইচ বার্ট