চায়না – China

সংক্ষিপ্ত মূলপাঠ (Text)

চোখে চাপ, যেমন মানসিক জড়তা থেকে হয়। অক্ষরগুলি মলিন দেখা যায়, উহাতে চারধারে সীমা সাদা। চোখ নড়ালে বেদনা হয়, যেন চোখে যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। চোখ দিয়ে পানি পড়ে, চোখের পাতার ভিতরের দিকে চোখে বেদনা। চোখের সামনে স্ফুলিঙ্গ বা কালো দেখা যায়। চোখের তারা সংকুচিত বা প্রসারিত হয়। আলোকে বৃদ্ধি, অন্ধকারে উপশম হয়।

ব্যবহারিক সংকেত (Clinical Hints)

দৃষ্টির জড়তা:

মাতালদের দৃষ্টির জড়তা (Amblyopia), হস্ত মৈথুনের পর দৃষ্টির জড়তা দেখা দিলেও চায়না উপকার করে। মাথায় রক্ত সঞ্চয়ের প্রবণতা, রাত কানা। সবিরাম অন্ধত্ব।

রেটিনা:

রেটিনার দৌর্বল্য রোগী ক্ষনিকের জন্য অন্ধ হয় অথবা চোখের সামনে ঝিকমিক করে। লম্পট ক্রিয়া বা অতিশয় স্ত্রী সহবাসজনিত পীড়ায় এইরূপ অবস্থায় চায়না ব্যবস্থেয়।

স্নায়ুপুল:

চোখে স্নায়ুশূল, বাখা চোখের চারধারে বিদ্যমান থাকে। সিলিয়ারী নিউর‍্যালজিয়া। সুপ্রা অরবিটাল নিউব্যালজিয়া। চায়নার সকল বেদনা সামান্য স্পর্শে বৃদ্ধি পায়, বেদনা ঠান্ডা বাতাসে উপস্থিত হয়, গরমে কমে।

লক্ষ্য করুন:

দৃষ্টিশক্তির দুর্বলতা এবং চোখের পাশের নিউর‍্যালজিয়া প্রায়ই মেরুদন্ডের উত্তেজনা ও ক্ষতবৎ অবস্থার সঙ্গে প্রায়ই বিদ্যমান থাকে। বেদনা মাথার পিছন দিকে প্রসারিত হয়। এমন কি চোখেও। বেদনা বৃদ্ধি পায় রাতে শয়নে, সব সময় নয়। রোগী রোদ সহ্য করতে পারে না, আলোকভীতি। ম্যালেরিয়া কিংবা রক্ত স্রাবের পর এনিমিয়া থেকে চোখের প্রদাহ হলে চায়না মূল্যবান ঔষধ। কর্নিয়া এবং আইরিসের প্রদাহে চোখে প্রখর তীক্ষ্ণকেটে ফেলার মত ব্যথা হয়, রোগী মনে করে চোখে কোন যন্‌ত্র চালানো হচ্ছে। প্রতি দুপুরের আগে বেদনা বৃদ্ধি পায়, নড়ালেই চোখ তীব্রবেদনা যুক্ত হয়। তীব্র আলোকে চোখ অতিশয় অনুভূতিশীল হয়ে ওঠে। এ ঔষধ জীবন রক্ষক রস রক্তের অপচয় যেমন রক্তস্রাব, অতিশয় শুক্রপাত হেতু যাদের শরীর ভেঙ্গে গেছে, তাদের জন্য উপযোগী। রোগী হয় উদাসীন, নিরুৎসাহী এবং হতাসা গ্রস্ত। ছোঁয়া লাগলে, ঝাপ্টা বাতাসে, ঠান্ডায় রাতে, নড়াচড়ায় পীড়া বৃদ্ধিপায়। উপশম হয় গরমে বিশ্রামে, চাপে।

কে কি বলেন:

সবিরাম সিলিয়ারী নিউর‍্যালজিয়ায় চায়না খুব সাফল্যের প্রমাণ দিয়েছে। কপালে এবং শংখস্থানে বেদনাযুক্ত চাপ এবং টেনেধরা ব্যথা সকাল ১০ টায় উপস্থিত হত আর উহার স্থায়ীত্ব ছিল ৩ ঘন্টা। স্পর্শে বা নড়াচড়ায় ব্যথা বাড়ত। ডা. সি, জি, র

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *